শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের দেখিয়ে গেছেন কিভাবে শ্রী কৃষ্ণের চরণতলে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মায়ার সংসার ত্যাগ করে শচীমাতা ও স্ত্রী
বিষ্ণুপ্রিয়াকে রেখে নীলাচলে চলে যাচ্ছেন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের দেখিয়ে গেছেন
কিভাবে শ্রী কৃষ্ণের চরণতলে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। মহাপ্রভু গৃহত্যাগ করেছিলেন
কিন্তু তিনি আমাদের গৃহত্যাগ করতে বলেন নি। তিনি আমাদের গৃহে থেকেই শ্রীকৃষ্ণ চরণ
আরাধনা করতে বলেছেন।মহাপ্রভু বলেছেন হাতে করো গৃহ কর্ম, মুখে বলো হরি
অনায়াসে দিতে পারবে ভবসিন্ধু পাড়ি
কতো সহজ পথ প্রদর্শন করে গেছেন কলির জীব উদ্ধারের জন্য।
তাই আমাদের
সকলের উচিত তার দেখানো পথ অনুসরণ করা। তাহলেই এই মায়ার সংসার থেকে মুক্তি মিলবে।
কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল ভাই, আর সব মিছে।
পলাইতে পথ নাই, যম আছে পিছে।
অনন্ত কোটি জনম আমরা পেয়েছিলাম, সব জনমেই শুধু এই একটাই ভুল করেছি। নিজের
দেহকে মূল মনে করেছি। কিন্তু তা নয়! জীবনের মূল উদ্যেশ্য হলো কৃষ্ণ
ভজন।
মায়া আজ আমাদের সব দিক থেকেই ঘিরে রেখেছে! আর তাই জীবনে এত দুঃখ
যন্ত্রণা। তাহলে মুক্তির পথ কি?
মুক্তির পথ হল
কলি কালে নাম বিনে নাহি আর ধর্ম
সর্ব মন্ত্র সার এই শাস্ত্র মর্ম।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
কোন মন্তব্য নেই