মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড : রিফাত হত্যা (বাংলা আমার প্রাণে)
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আসাদুজ্জামান মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় মিন্নিসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার ৬ নম্বর আসামি মুছা বন্ড পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯), ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকে প্রধান সাক্ষি রাখা হয়।
এরপর ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। এ মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ ও কিশোর ১৪ জনের আলাদা বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের অভিযোগপত্রে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি রাখা হয়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মামলার চার্জগঠন হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখে ঘোষণা করা হয়। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনসহ ৪৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে।
দেশে আইনের শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা অনেক শক্তিশালী ও সচ্ছ। এই রায় তারই বহিপ্রকাশ।
উত্তরমুছুন